কন্টেন্ট রাইটিং লিখার উপায়
কন্টেন্ট রাইটিং লিখার উপায়
আজকাল অনলাইন মার্কেটিং এ কন্টেন্ট লিখার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। সুন্দর কন্টেন্ট এর গুণ- হলো এটি প্রতিটি বিষয় খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে । আপনি বলতে পারেন যে কনটেন্ট হলো এক ধরনের অলংকার। আপনি যেকোনো কাজ বা বিজনেস করেন না কেন তার সুন্দর একটা কনটেন্ট থাকতে হবে, যা দেখে মানুষ সেটা সম্পর্কে লিখার ক্লিয়ার একটা ধারণা পাবে।
ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে এই কন্টেন্ট রাইটিং লিখার উপর দক্ষতা অর্জন করা এখন সময়ের দাবি। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কন্টেন্ট রাইটিং নিয়ে জানব। কিভাবে একটি সুন্দর কন্টেন্ট তৈরি করতে হয়। কি কি বিষয়ের উপর বেশি বেশি আমাদের ফোকাস দিতে হবে। কন্টেন্ট এর মধ্যে ব্যবহৃত ভাষা, শব্দ কেমন হওয়া উচিত, এসব টিপস নিয়ে আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য সাজানো হয়েছে।
সূচিপত্রঃ কন্টেন্ট রাইটিং লিখার উপায়
- কন্টেন্ট রাইটিং লিখার উপায়
- কন্টেন্ট রাইটিং কেন এত গুরুত্বপূর্ণ
-
আকর্ষণীয় কন্টেন্ট রাইটিং লিখার সিক্রেট টিপস
- সহজ ভাষায় কন্টেন্ট লিখার উপায়
-
নিজস্ব স্টাইলে কন্টেন্ট রাইটিং লেখা
- কন্টেন্ট এর উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য ঠিক করা
- কন্টেন্ট রাইটিং শেখার স্টেপগুলো জানব
- কীভাবে কন্টেন্ট রাইটিং করে আয় করা যায়
- সতর্কতা
- শেষকথা
কন্টেন্ট রাইটিং লিখার উপায়
একটি কার্যকর কন্টেন্ট লেখার জন্য, প্রথমে একটি আকর্ষণীয় বিষয় নির্বাচন করতে
হবে। এবং সেটির উপর গভীর বিবেচনা করা উচিত।এরপর, পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করতে
একটি উপযুক্ত শিরোনাম তৈরি করুন এবং লেখাটিকে সহজবদ্ধ ও পাঠযোগ্য করে তুলুন।
কন্টেন্ট রাইটিং কেন এত গুরুত্বপূর্ণ
আজকাল, ইন্টারনেট ব্যবহারের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রতিটি ব্র্যান্ড এবং
কোম্পানি ওয়েব কন্টেন্ট দিয়ে ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছায়। তাহলে, একজন
কন্টেন্ট লেখক হিসেবে আপনি এই লক্ষ্য অর্জনে একটি বড় ভূমিকা অবদান রাখতে
পারেন। উদাহরণস্বরূপ যেমন- প্রফেশনাল কন্টেন্ট ওয়েবসাইটের S E O ভালো
করতে এছাড়াও ওয়েব কন্টেন্ট লেখার মাধ্যমে আপনি যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে
পারেন।
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাওয়ার কারণে ওয়েব কন্টেন্ট
দিয়ে তাদের কাছে পৌঁছাতে চাই বর্তমান সময়ের প্রতিটি ব্যবসা ও ব্র্যান্ড। একজন
দক্ষ কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে আপনি সে লক্ষ্য পূরণে বিজনেসের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা রাখবেন। যেমন -S E O ফ্রেইন্ডলী কন্টেন্ট দিয়ে ওয়েবসাইটের এসইও
অথোরিটি ভালো করতে পারেন।
আকর্ষণীয় কন্টেন্ট রাইটিং লিখার সিক্রেট টিপস
একটি ভালো কন্টেন্ট আপনার ওয়েবসাইটের জন্য অনেক বড় ভূমিকা রাখে, ঠিক তেমনি
একটি ভালো কন্টেন্ট লিখতে বা তৈরি করতে কিছু নিয়ম-কানুন জানতে হবে। যে
বিষয়গুলো একটা কন্টেন্টের মধ্যে থাকতে হবে। ঠিক তেমনি কিছু- নিয়ম মেনে
কন্টেন্ট তৈরি করলে তা সঠিক লক্ষে পৌঁছাতে আপনাকে অনেক সাহায্য করবে। চলুন জেনে
নেওয়া যাক ভালো করার অব্যথ ও গোপনীয় টিপস যা আপনাকে এক্সপার্ট কন্টেন্ট
রাইটার হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে ।
সহজ ভাষায় কন্টেন্ট লিখার উপায়
কন্টেন্ট লেখার ক্ষেত্রে "সহজ ভাষা" এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
কন্টেন্ট এর ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে যে,
সেটি যেন কঠিন বা গুরুগম্ভীর না হয়। অনেক কঠিন এবং বড় কোন শব্দ অডিয়েন্সের
মধ্যে এক ধরনের বিরক্ত ভাব আসতে পারে। তাই কন্টেন্টের ভাষা যত সহজ হবে
অডিয়েন্সের কাছে সেটা তত গ্রহণযোগ্য পাবে। তাই যতটা সম্ভব স্বাবলম্বী
ভাষায় লেখার চেষ্টা করুন যাতে সকল ধরনের মানুষ আপনার কন্টেন্ট পড়তে এবং বুঝতে
পারে ।
নিজস্ব স্টাইলে কন্টেন্ট রাইটিং লেখা
অন্যকে অনুকরণ বা নকল করে নয় বরং, নিজের স্টাইল এবং অডিয়েন্সের ধরন অনুযায়ী আপনার কন্টেন্টকে সাজিয়ে লিখুন। যেভাবে লিখলে আপনার নিজের স্টাইল ও কন্টেন্টের কোয়ালিটি ঠিক থাকবে, আবার অডিয়েন্সের চাহিদা ও মিটবে, সেভাবে আপনার লেখা বা আপনার কন্টেন্টকে উপস্থাপন করুন। অনেকেই খুব গুরুগম্ভীর ভাষা ব্যবহার করে কন্টেন্ট লেখে, আবার কেউ কেউ একটু রচনার মত করে কৌতুক মিশিয়ে সেটা উপস্থাপন করে, আবার অনেকে খুব আবেগ ইমোশন নিয়ে লেখে, আবার কেউ বা নিজের বাস্তব জীবনের ঘটনা নিয়ে কন্টেন্ট লিখে।
তবে কন্টেন্ট কোন প্ল্যাটফর্মের জন্য বানানো হচ্ছে? ব্যবসায়ী ওয়েবসাইট? ফেসবুক নাকি ইউটিউব? এই প্লাটফর্মের বিষয়টি মাথায় রাখুন। কন্টেন্টের স্টাইল যেন প্ল্যাটফর্ম উপযোগী ও ইউজার সাপেক্ষে গ্রহণযোগ্যতা পায়, সেদিকেও খেয়াল রাখুন।
কন্টেন্ট এর উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য ঠিক করা
উদ্দেশ্য বিহীন কোন কাজ ভালো হয় না, সফলও হয় না। আপনার কন্টেন্টের মধ্যে যদি ভালো উদ্দেশ্য না থাকে তা হলে সেটা ভালো হবে না, এমনকি গ্রহণযোগ্যতা ও পাবে না। তাই কন্টেন্ট বানানোর আগে আপনাকে ঠিক করতে হবে টার্গেট অডিয়েন্স আপনার কন্টেন্ট থেকে কি জানতে পারবেন। নির্দিষ্ট একটি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে কন্টেন্ট সাজাতে পারেন। কন্টেন্টের উদ্দেশ্য গুলো যেমন হতে পারে তা নিচে দেওয়া হলো-
১. টার্গেট অডিয়েন্স কে যেকোনো ব্যাপারে অনুপ্রেরণা দেওয়া
২.অডিয়েন্সের যদি কোন সমস্যার সম্মুখীন হয় তার সমাধান করা
৩.টার্গেট অডিয়েন্সকে নতুন কিছু শিখতে সাহায্য করা
কন্টেন্ট রাইটিং শেখার স্টেপগুলো জানব
আপনি দুটি উপায়ে কন্টেন্ট রাইটিং শিখতে পারেন বিনামূল্যে ফ্রি বা অর্থ প্রদান। পেইড করে রাইটিং শুরু করার আগে এ বিষয়ে ভালোভাবে জেনে নেওয়া খুবই জরুরী। দুই ক্ষেত্রেই এর সুবিধা এবং অসুবিধা আছে। আজকাল অনলাইনে ফ্রি রিসোর্সের কোন অভাব নেই। আপনার যদি কোন কোর্সের জন্য টাকা না থাকে, তাহলে আপনি যদি শেখার চেষ্টা করেন, তবে আপনি ফ্রিতে অনলাইন কন্টেন্ট কিভাবে লিখবেন তা শিখতে পারেন। এর জন্য প্রয়োজন অদম্য ইচ্ছা শক্তিও ধৈর্যের।
কোন ব্যক্তি যদি বাস্তবে ফ্রিতে একদম নতুন কেউ কন্টেন্ট রাইটিং শিখতে যায় তবে রিসোর্সে মহাসমুদ্রে ভেসে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নতুনরা কোন নির্দেশনার অভাবে হালকা পাতলা ধারণা নিয়ে কাজের ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং পরবর্তীতে সাক্সেস না পেয়ে ধাক্কা খেয়ে হতাশ হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে কোন পেইড কোর্সের আন্ডারে থাকলে একটা মহাসমুদ্রের ভেতর থেকে আপনি সঠিক গাইডলাইন পাবেন। এছাড়াও আরো সুবিধা রয়েছে পার্সোনাল ভাবে কোর্স চলাকালীন এবং কোর্স শেষেও সাপোর্ট পাবেন। সবশেষে বলতে পারি আমাদের এই মহানন্দা আইটি থেকেও কন্টেন্ট রাইটিং কোর্সটি করতে পারেন কন্টেন্ট রাইটিং ছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং জগতের সব কোর্স ই আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন।
কীভাবে কন্টেন্ট রাইটিং করে আয় করা যায়
কন্টেন্ট লিখে কি আসলেই ইনকাম জেনারেট করা যায়? হ্যাঁ, অবশ্যই ইনকাম করা যায়। প্রথমেই আমরা আপনাদের বলেছি যে, বর্তমানে কন্টেন্ট ইনকামের একটি বড় মাধ্যম হিসেবে দাঁড়িয়েছে। কেননা কন্টেন্টই হলো কিং অর্থাৎ রাজা। কন্টেন্ট লিখে বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে মানুষ বিভিন্নভাবে ইনকাম জেনারেট করছে। আবার কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের লেখা বা অডিও, ভিডিও কন্টেন্ট বানিয়ে পাবলিশ করে আয় করছে। এছাড়াও আপনি একটি ব্লগ সাইট তৈরি করে নিজের অভিজ্ঞতা দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে সেখান থেকেও ইনকাম জেনারেট করতে পারেন। তাই পরিশেষে বলতে পারি যার কন্টেন্ট যত বেশি ভালো ও আকর্ষণীয় সে তত বেশি মার্কেটে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে। তাহলে সহজেই বুঝতেই পারছেন যে, কন্টেন্ট রাইটিং কতটা ইউনিক ও আকর্ষণীয় সেক্টর বর্তমান ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে।
সতর্কতা
অন্যের লেখা বা ধারণার অপব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। এটি একটি গুরুতর অপরাধ এবং পেশাগত জীবনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে যেন আমরা অন্যের কন্টেন্ট কপিরাইট না করি এদিকে অবশ্যই আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
শেষকথা
কন্টেন্ট লেখা একটি চলমান প্রক্রিয়া। নিয়মিত লেখা, অন্যের লেখা পড়া এবং গঠনমূলক সমালোচনা গ্রহণ করার মাধ্যমে আপনি আপনার কন্টেন্ট লেখার দক্ষতাকে আরো উন্নত করতে পারেন।
মহানন্দানারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url